(গান-১৪)
সামনের পথ যতঃ
সামনের পথ যত বন্ধুর হোক
হোক না আঁধারে ঘেরা চারিদিক
আলোর পথিক তুমি ভয় পেয়না
মিথ্যের হুংকারে থেমে যেওনা
সত্যের পথে সদা থেক নির্ভীক ॥
কাঁটা ঘেরা মরুময় হোক না এ পথ
প্রাণ বাজী এই পথে রেখেছি
এই পথে মাঞ্জিল চির জান্নাত
ঈমানের জ্যোতি বুকে জ্বেলেছি
এই পথে শাহাদাত চির বাসনা
বিশ্বাসী ছূটে চলো নির্ভীক ॥
মালেকের সাথীরা ছুটে চলো আজ
ছুটে চলো সম্মুখে নির্ভয়
জীবনের বিনিময় হোক জান্নাত
মূমিনের নেই কভূ পরাজয়
হানজালা ওমর আর হামজা আলী
এ পথের বিপ্লবী সৈনিক ॥
------ ***** ------
(গান-১৩)
হাজার পাখির গানে জাগ্রতঃ
হাজার পাখির গানে জাগ্রত
হাজার নদী আর গ্রাম
এ যে আমার জন্মভূমি আমার মাতৃভূমি
বাংলাদেশ তার নাম ।।
এখানে রাখালিয়া বাঁশের বাঁশরী
মন ছুঁয়ে যায়
নূপুরের ঝংকারে কলকল সুর তুলে
নদী বয়ে যায়
পাহাড় ধুঁয়ে ধুঁয়ে নির্ঝরিণী
যায় ছুটে অভিরাম ।।
এখানে ভাটিয়ালি সুরে মাঝি গায়
জীবনের গান
পাখিদের কল্লোলে মহুয়া সবুজ বনে
করে আহবান
সবুজ আঁচল পাতা এই প্রকৃতি
নিটোল রূপের এক গ্রাম ।।
------- ***** -------
(গান-১২)
তুমি সৃজিয়েছোঃ
তুমি সৃজিয়েছো সুন্দর এই ধরনী
অবারিত নীল আসমান
পাখির গানে গানে ফুলের ঘ্রাণে ঘ্রাণে
মুখরিত এই জাহান
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ ; আল্লাহ তুমি যে মহান ॥
সৃজিয়েছো তুমি ঔ রাতের তারা
দ্বাদশী চাঁদের আলো জোছনা ধারা
জোনাকির আলো লাগে কী যে ভালো
কুহু কুহু কোকিলেরা গায় তব গান
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ ; আল্লাহ তুমি যে মহান ॥
গারি সারি মহুয়ার নিপুন ছবি
মমতা মাধুরী দিয়ে সৃজিলে সবই
গোলাপের শোভা কী যে মনলোভা
মহিমা তোমার প্রভূ সে তো অফুরান
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ ; আল্লাহ তুমি যে মহান ॥
-------- ******** --------
(গান-১১)
আকাশটা গড়েছো আল্লাহ তুমি
বৃক্ষ তরুলতা সবুজ ভুমি
বয়ে যাওয়া পবনের সুরে
তোমার মধুর নামটি শুনি
আল্লা-হু আল্লাহু আল্লাহ ॥
পাহাড়ের বুক চিড়ে ঝর্ণাধারা
ছুটে চলে সাগড় পানে
বন বিথীকা প্রাণ ফিরে পায়
সেও প্রভু তোমার দানে
কোকিলের কুহু কুহু সুরে
তোমার মধুর নামটি শুনি
আল্লা-হু আল্লাহু আল্লাহ ॥
ভ্রমরের গুন গুন গুনজরনে
মুখরিত ফুলেল ধরা
পিউ পাপিয়ার গানের সুরে
জেগে উঠে ঘুমের পাড়া
আযানের সুমহান সুরে
তোমার মধুর নামটি শুনি
আল্লা-হু আল্লাহু আল্লাহ ॥
----- ***** ------
(গান-০৯)
আহা বৃষ্টি কি যে বৃষ্টি
এই মন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
রিম ঝিম নুপুরের ছন্দ তালে
ভেজা ভেজা ঘন বরষায় ॥
আম জাম কাঠাঁলের বনে
কূলা ব্যাঙ ডাকে নে নে
ফোটা ফোটা বৃষ্টি ঝরে
ভেজা ভেজা ঘন বরষায় ॥
আকাশে ঘন কালো মেঘের ছড়াছড়ি
এনে হয় যেন কোন মেঘ রূপসী
এলো কেশ দিয়েছে ছাড়ি
ঐ দূর বিজনের বনে
নাচে মন কদমের ঘ্রাণে
থোকা থোকা কেয়া রঙন
ফোটে ভেজা ঘন বরষায় ॥
------- ***** -------
(গান-০৮)
লক্ষ প্রাণের দামেঃ
লক্ষ প্রাণের দামে অর্জিত স্বাধীন এক দেশ
আমার ভাইয়ের খুনে রনজিত সবুজ এক দেশ
সে যে আমার বাংলাদেশ ॥
বাংলাদেশের বুকে জন্ম নিয়ে
ধন্য হয়েছি আমি ধন্য
এই দেশের মানুষ প্রাণ দিতে পারে
স্বাধীনতার জন্য
কুষক শ্রমিক আর দিন মজুরের
ঘামে ভেজা এক দেশ
সে যে আমার বাংলাদেশ ॥
একাত্তরের সেই খুনে রাঙা দিন
চেতনায় আজও অম্লান
জীবন দিয়েও মো রাখবো ধরে
রাখবো দেশেরই মান
লাল সবুজের এই পতাকা তলে
হই শপথে আজ বলিয়ান
এই দেশের তওে প্রাণ দিতে রাজি
বীর সেনানী হও আগুয়ান
রক্তের সিড়ি বেয়ে উঠলো জেগে
স্বাধীন সবুজ এক দেশ
সে যে আমার বাংলাদেশ ॥
------ ***** ------
(গান-০৭)
আল্লাহ নামে কত যে মধুঃ
আল্লাহ নামে কত যে মধু
কি করে বুঝাই বলো আমি
পাইনা খুঁজে আমি কোন ভাষা
কোন সুরে মিঠেনা মনের আশা
হৃদয়ের সব টুকু ভক্তি ঢেলে
ডাকি শুধু তারেই আমি ॥
রাতের আকাশ ভরা তারায় তারায়
আধাঁর ঠেলে চাঁদ জোছনা ছড়ায়
আলোকিত হয় সব প্রভূর নূরে
পাখিদের গানে গানে প্রতি ভোরে
সবুজের আঙিনায় মন মোহিনী
ভাবি শুধু তারেই আমি ॥
ফেরেস্তারাও সব দমে দমে
তাসবিহ পড়ে এক আল্লাহ নামে
পাখিরা প্রভূর টানে যায় সুদূরে
নির্ঝরনী ছুটে তারেই স্বরে
সাগরের বুকে ঢেউ আচড়ে পড়ে
তারই নামে দিবসযামী ॥
------- ***** -------
(গান-০৬)
তোমার সৃষ্টি প্রভূঃ
তোমার সৃষ্টি প্রভূ কি যে অপরূপ
যত দেখি লাগে ভালো
নিপুন নিরূপম কওে সাজালে
ঢেলে তোমারই রূপের আলো ॥
পাহাড়ের বুক চিড়ে নির্ঝরিনী
ছুপে চলে আপন সুখে
ঢেউয়ের পরে ঢেউ আচঁড়ে পড়ে
অভিমানে সাগর বুকে
ইীল নীল ঐ আকাশে মেঘের নীলয়
কি করে তৈরী হলো ॥
তটিনীর বাঁকে বাঁকে দোলে কাঁশবন
শুভ্রতা পালকে মেখে
বকের সারি আহা যায় যে উড়ে
নীলাকাশে মেঘের ডাকে
ঝিরঝির পবনে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
গোলাপের পাপড়ি গুলো ॥
------- ***** -------
(গান-০৫)
ধানী রঙ ফসলেরঃ
ঐ ধানী রঙ ফসলের মাঠে
আমি আকুল হয়ে চেয়ে রই
গবুজের আলপনা ছড়ানো এখানে
কথা সুরে গানে মেতে রই ॥
সবুজ শ্যামল নিটোল রূপের দেশ
মনের কোণে ছড়ায় মায়াবী আবেশ
আনমনে দেখি এই রূপের নিণয়
ছুট যায় ঐ নদী জলে থই থই ॥
দিঘির বুকে পদ্ম পাতায় জল
সাড়া ভুবন ঘুরে দেখেছো কি বল্
নীড় হারা পাখিদেও কাকলিতে
সবুজের বন্দরে বাঁধে হই চই ॥
------- ***** -------
(গান-০৪)
নবীন বরনের গানঃ
শিক্ষার এই আলোকিত আঙিনাতে
তোমাদের করছি বরণ
শুভ হোক তোমাদের আগমন ॥
তোমাদের আগমনে হাজার কলিরা
পাপড়ি মেলে
আধাঁর রজনী শেষে পূবের আকাশে
রক্তিম সূর্য্য দোলে
হৃদয় বীণার তারে নতুনের সুরে সুরে
তোমাদের করছি বরণ
শুভ হোক তোমাদের আগমন ॥
নবীন সাথীরা হাতে হাত রাখো
বল পুষ্পিত বিশ্ব চাই
ভুলে হানাহানী মুছে ব্যাথা গ্লাণী
এসো মুক্তির কেতন উড়াই
তোমাদের পদভারে মুখরিত হবে
এই আঙিনা
ন্ধদয় দোয়ার খুলে করছি বরণ তাই
ভুলে গিয়ে সব বেদনা
হৃদয় বীণার তারে নতুনের সুরে সুরে
তোমাদের করছি বরণ
শুভ হোক তোমাদের আগমন ॥
------- ***** -------
(গান-০৩)
হৃদয়ের যত গানঃ
হৃদয়ের যত গান আর যত সুর
সবইতো হলো সুমধূর
তোমারই নামে প্রভূ তোমারই নামে
ঐ আকাশ নীলে পাখি ডানা মেলে
গেয়ে গান তোমারই নামে ॥
পাহাড়ের বুক চিড়ে ঝর্ণা ধারা
বয়ে চলে এঁকে বেঁকে বাধঁন হারা
ঐ শান্ত নদী ছুটে নিরবধী
ঢেউয়ে ঢেউয়ে তোমারই নামে ॥
ফেরেস্তারাও সব দমে দমে
তাসবিহ পড়ে প্রভূ তোমার নামে
জোছনার রঙ মেখে ধন্য ধরা
ফুলে ফলে সাজে যেন আকুল করা
ঐ সবুজ শাখে বসে কোকিল ডাকে
কুহু কুহু তোমারই নামে ॥
------- ***** -------
(গান-০২)
মরুভূমি মদিনাঃ
মরুভূমি মদিনা ধন্য হলো
পূর্ণ হলো যার পরশে
সেইতো আমার মহান পুরুষ
তাঁর নাম ভাসে সদা আরশে ॥
সুবহে সাদিক এলো জ্বললো বাতি
নামলো ধরার বুকে নূরের জ্যোতি
সেই জ্যোতিতে ভূবন হলো উজ্বল
ভাঙ্গলো তিমির ঘোর অমানিশা
দ্বীনের আলোতে ধরা জাগলো ॥
স্পর্শে তোমার জাগলো মরু
ফুটলো রঙীন ফুল
গাইলো ভ্রমর তারে চুমি
মুহাম্মদ রাসুল (সাঃ)
বিশ্ববাসী পেলো শ্রেষ্ট নেতা
ঘুচলো তাদের সব দুঃখ ব্যাথা
তাঁর নামে হায় জীবন হলো সফল
ফিরে পেলো ফের আলোর দিশা
পাপী-তাপীর ভুল ভাঙলো ॥
------- ***** -------
(গান-০১)
কাঁদতে আর পারি নাঃ
সেই পুরনো বাড়িটা আজও আছে
ঠিক আগেরই মত
শুধু নেই আজ তুমি / তোমায় খুঁিজ আমি
তাই; বেড়ে যায় হৃদয়ের চেনা ত
“বাব কতদিন কতরাত এমনি করে
কাটাবো আর বলনা
দু’চোখের অশ্রু শুকিয়ে গেছে তাই
কাঁদতে আর পারি না ॥
আজো আছে ফ্রেমে বাঁধা সেই প্রিয় মুখ
যতবার দেখি শুধু বেড়ে যায় দুখ্
অভিমান মনটাকে পারিনা বুঝাতে
বুক ফেটে আসে কান্না ॥
আজ হায় মনে পড়ে তোমার কথা
স্মৃতিরা ডাকে পিছু বাড়ায় ব্যাথা
কষ্ট দোসর রাতে রিক্ত হৃদয় হায়
সইতে যেআর পারিনা ॥
সামনের পথ যতঃ
সামনের পথ যত বন্ধুর হোক
হোক না আঁধারে ঘেরা চারিদিক
আলোর পথিক তুমি ভয় পেয়না
মিথ্যের হুংকারে থেমে যেওনা
সত্যের পথে সদা থেক নির্ভীক ॥
কাঁটা ঘেরা মরুময় হোক না এ পথ
প্রাণ বাজী এই পথে রেখেছি
এই পথে মাঞ্জিল চির জান্নাত
ঈমানের জ্যোতি বুকে জ্বেলেছি
এই পথে শাহাদাত চির বাসনা
বিশ্বাসী ছূটে চলো নির্ভীক ॥
মালেকের সাথীরা ছুটে চলো আজ
ছুটে চলো সম্মুখে নির্ভয়
জীবনের বিনিময় হোক জান্নাত
মূমিনের নেই কভূ পরাজয়
হানজালা ওমর আর হামজা আলী
এ পথের বিপ্লবী সৈনিক ॥
------ ***** ------
(গান-১৩)
হাজার পাখির গানে জাগ্রতঃ
হাজার নদী আর গ্রাম
এ যে আমার জন্মভূমি আমার মাতৃভূমি
বাংলাদেশ তার নাম ।।
এখানে রাখালিয়া বাঁশের বাঁশরী
মন ছুঁয়ে যায়
নূপুরের ঝংকারে কলকল সুর তুলে
নদী বয়ে যায়
পাহাড় ধুঁয়ে ধুঁয়ে নির্ঝরিণী
যায় ছুটে অভিরাম ।।
এখানে ভাটিয়ালি সুরে মাঝি গায়
জীবনের গান
পাখিদের কল্লোলে মহুয়া সবুজ বনে
করে আহবান
সবুজ আঁচল পাতা এই প্রকৃতি
নিটোল রূপের এক গ্রাম ।।
------- ***** -------
(গান-১২)
তুমি সৃজিয়েছোঃ
তুমি সৃজিয়েছো সুন্দর এই ধরনী
অবারিত নীল আসমান
পাখির গানে গানে ফুলের ঘ্রাণে ঘ্রাণে
মুখরিত এই জাহান
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ ; আল্লাহ তুমি যে মহান ॥
সৃজিয়েছো তুমি ঔ রাতের তারা
দ্বাদশী চাঁদের আলো জোছনা ধারা
জোনাকির আলো লাগে কী যে ভালো
কুহু কুহু কোকিলেরা গায় তব গান
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ ; আল্লাহ তুমি যে মহান ॥
গারি সারি মহুয়ার নিপুন ছবি
মমতা মাধুরী দিয়ে সৃজিলে সবই
গোলাপের শোভা কী যে মনলোভা
মহিমা তোমার প্রভূ সে তো অফুরান
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ ; আল্লাহ তুমি যে মহান ॥
-------- ******** --------
(গান-১১)
আকাশটা গড়েছোঃ
বৃক্ষ তরুলতা সবুজ ভুমি
বয়ে যাওয়া পবনের সুরে
তোমার মধুর নামটি শুনি
আল্লা-হু আল্লাহু আল্লাহ ॥
পাহাড়ের বুক চিড়ে ঝর্ণাধারা
ছুটে চলে সাগড় পানে
বন বিথীকা প্রাণ ফিরে পায়
সেও প্রভু তোমার দানে
কোকিলের কুহু কুহু সুরে
তোমার মধুর নামটি শুনি
আল্লা-হু আল্লাহু আল্লাহ ॥
ভ্রমরের গুন গুন গুনজরনে
মুখরিত ফুলেল ধরা
পিউ পাপিয়ার গানের সুরে
জেগে উঠে ঘুমের পাড়া
আযানের সুমহান সুরে
তোমার মধুর নামটি শুনি
আল্লা-হু আল্লাহু আল্লাহ ॥
----- ***** ------
(গান-০৯)
আহা বৃষ্টিঃ
আহা বৃষ্টি কি যে বৃষ্টি
এই মন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
রিম ঝিম নুপুরের ছন্দ তালে
ভেজা ভেজা ঘন বরষায় ॥
আম জাম কাঠাঁলের বনে
কূলা ব্যাঙ ডাকে নে নে
ফোটা ফোটা বৃষ্টি ঝরে
ভেজা ভেজা ঘন বরষায় ॥
আকাশে ঘন কালো মেঘের ছড়াছড়ি
এনে হয় যেন কোন মেঘ রূপসী
এলো কেশ দিয়েছে ছাড়ি
ঐ দূর বিজনের বনে
নাচে মন কদমের ঘ্রাণে
থোকা থোকা কেয়া রঙন
ফোটে ভেজা ঘন বরষায় ॥
------- ***** -------
(গান-০৮)
লক্ষ প্রাণের দামেঃ
লক্ষ প্রাণের দামে অর্জিত স্বাধীন এক দেশ
আমার ভাইয়ের খুনে রনজিত সবুজ এক দেশ
সে যে আমার বাংলাদেশ ॥
বাংলাদেশের বুকে জন্ম নিয়ে
ধন্য হয়েছি আমি ধন্য
এই দেশের মানুষ প্রাণ দিতে পারে
স্বাধীনতার জন্য
কুষক শ্রমিক আর দিন মজুরের
ঘামে ভেজা এক দেশ
সে যে আমার বাংলাদেশ ॥
একাত্তরের সেই খুনে রাঙা দিন
চেতনায় আজও অম্লান
জীবন দিয়েও মো রাখবো ধরে
রাখবো দেশেরই মান
লাল সবুজের এই পতাকা তলে
হই শপথে আজ বলিয়ান
এই দেশের তওে প্রাণ দিতে রাজি
বীর সেনানী হও আগুয়ান
রক্তের সিড়ি বেয়ে উঠলো জেগে
স্বাধীন সবুজ এক দেশ
সে যে আমার বাংলাদেশ ॥
------ ***** ------
(গান-০৭)
আল্লাহ নামে কত যে মধুঃ
আল্লাহ নামে কত যে মধু
কি করে বুঝাই বলো আমি
পাইনা খুঁজে আমি কোন ভাষা
কোন সুরে মিঠেনা মনের আশা
হৃদয়ের সব টুকু ভক্তি ঢেলে
ডাকি শুধু তারেই আমি ॥
রাতের আকাশ ভরা তারায় তারায়
আধাঁর ঠেলে চাঁদ জোছনা ছড়ায়
আলোকিত হয় সব প্রভূর নূরে
পাখিদের গানে গানে প্রতি ভোরে
সবুজের আঙিনায় মন মোহিনী
ভাবি শুধু তারেই আমি ॥
ফেরেস্তারাও সব দমে দমে
তাসবিহ পড়ে এক আল্লাহ নামে
পাখিরা প্রভূর টানে যায় সুদূরে
নির্ঝরনী ছুটে তারেই স্বরে
সাগরের বুকে ঢেউ আচড়ে পড়ে
তারই নামে দিবসযামী ॥
------- ***** -------
(গান-০৬)
তোমার সৃষ্টি প্রভূঃ
তোমার সৃষ্টি প্রভূ কি যে অপরূপ
যত দেখি লাগে ভালো
নিপুন নিরূপম কওে সাজালে
ঢেলে তোমারই রূপের আলো ॥
পাহাড়ের বুক চিড়ে নির্ঝরিনী
ছুপে চলে আপন সুখে
ঢেউয়ের পরে ঢেউ আচঁড়ে পড়ে
অভিমানে সাগর বুকে
ইীল নীল ঐ আকাশে মেঘের নীলয়
কি করে তৈরী হলো ॥
তটিনীর বাঁকে বাঁকে দোলে কাঁশবন
শুভ্রতা পালকে মেখে
বকের সারি আহা যায় যে উড়ে
নীলাকাশে মেঘের ডাকে
ঝিরঝির পবনে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
গোলাপের পাপড়ি গুলো ॥
------- ***** -------
(গান-০৫)
ধানী রঙ ফসলেরঃ
ঐ ধানী রঙ ফসলের মাঠে
আমি আকুল হয়ে চেয়ে রই
গবুজের আলপনা ছড়ানো এখানে
কথা সুরে গানে মেতে রই ॥
সবুজ শ্যামল নিটোল রূপের দেশ
মনের কোণে ছড়ায় মায়াবী আবেশ
আনমনে দেখি এই রূপের নিণয়
ছুট যায় ঐ নদী জলে থই থই ॥
দিঘির বুকে পদ্ম পাতায় জল
সাড়া ভুবন ঘুরে দেখেছো কি বল্
নীড় হারা পাখিদেও কাকলিতে
সবুজের বন্দরে বাঁধে হই চই ॥
------- ***** -------
(গান-০৪)
নবীন বরনের গানঃ
শিক্ষার এই আলোকিত আঙিনাতে
তোমাদের করছি বরণ
শুভ হোক তোমাদের আগমন ॥
তোমাদের আগমনে হাজার কলিরা
পাপড়ি মেলে
আধাঁর রজনী শেষে পূবের আকাশে
রক্তিম সূর্য্য দোলে
হৃদয় বীণার তারে নতুনের সুরে সুরে
তোমাদের করছি বরণ
শুভ হোক তোমাদের আগমন ॥
নবীন সাথীরা হাতে হাত রাখো
বল পুষ্পিত বিশ্ব চাই
ভুলে হানাহানী মুছে ব্যাথা গ্লাণী
এসো মুক্তির কেতন উড়াই
তোমাদের পদভারে মুখরিত হবে
এই আঙিনা
ন্ধদয় দোয়ার খুলে করছি বরণ তাই
ভুলে গিয়ে সব বেদনা
হৃদয় বীণার তারে নতুনের সুরে সুরে
তোমাদের করছি বরণ
শুভ হোক তোমাদের আগমন ॥
------- ***** -------
(গান-০৩)
হৃদয়ের যত গানঃ
হৃদয়ের যত গান আর যত সুর
সবইতো হলো সুমধূর
তোমারই নামে প্রভূ তোমারই নামে
ঐ আকাশ নীলে পাখি ডানা মেলে
গেয়ে গান তোমারই নামে ॥
পাহাড়ের বুক চিড়ে ঝর্ণা ধারা
বয়ে চলে এঁকে বেঁকে বাধঁন হারা
ঐ শান্ত নদী ছুটে নিরবধী
ঢেউয়ে ঢেউয়ে তোমারই নামে ॥
ফেরেস্তারাও সব দমে দমে
তাসবিহ পড়ে প্রভূ তোমার নামে
জোছনার রঙ মেখে ধন্য ধরা
ফুলে ফলে সাজে যেন আকুল করা
ঐ সবুজ শাখে বসে কোকিল ডাকে
কুহু কুহু তোমারই নামে ॥
------- ***** -------
(গান-০২)
মরুভূমি মদিনাঃ
মরুভূমি মদিনা ধন্য হলো
পূর্ণ হলো যার পরশে
সেইতো আমার মহান পুরুষ
তাঁর নাম ভাসে সদা আরশে ॥
সুবহে সাদিক এলো জ্বললো বাতি
নামলো ধরার বুকে নূরের জ্যোতি
সেই জ্যোতিতে ভূবন হলো উজ্বল
ভাঙ্গলো তিমির ঘোর অমানিশা
দ্বীনের আলোতে ধরা জাগলো ॥
স্পর্শে তোমার জাগলো মরু
ফুটলো রঙীন ফুল
গাইলো ভ্রমর তারে চুমি
মুহাম্মদ রাসুল (সাঃ)
বিশ্ববাসী পেলো শ্রেষ্ট নেতা
ঘুচলো তাদের সব দুঃখ ব্যাথা
তাঁর নামে হায় জীবন হলো সফল
ফিরে পেলো ফের আলোর দিশা
পাপী-তাপীর ভুল ভাঙলো ॥
------- ***** -------
(গান-০১)
কাঁদতে আর পারি নাঃ
সেই পুরনো বাড়িটা আজও আছে
ঠিক আগেরই মত
শুধু নেই আজ তুমি / তোমায় খুঁিজ আমি
তাই; বেড়ে যায় হৃদয়ের চেনা ত
“বাব কতদিন কতরাত এমনি করে
কাটাবো আর বলনা
দু’চোখের অশ্রু শুকিয়ে গেছে তাই
কাঁদতে আর পারি না ॥
আজো আছে ফ্রেমে বাঁধা সেই প্রিয় মুখ
যতবার দেখি শুধু বেড়ে যায় দুখ্
অভিমান মনটাকে পারিনা বুঝাতে
বুক ফেটে আসে কান্না ॥
আজ হায় মনে পড়ে তোমার কথা
স্মৃতিরা ডাকে পিছু বাড়ায় ব্যাথা
কষ্ট দোসর রাতে রিক্ত হৃদয় হায়
সইতে যেআর পারিনা ॥
Marhaba
উত্তরমুছুন